JHARGRAM - BELPAHARI - GOPIBALLAVPUR WEEKEND TOUR

শহরের কাছে ও দূরে ---


চলুন ঘুরে আসি ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি ও গোপীবল্লভপুর -- 

 




কলকাতার থেকে সড়ক পথে ১৭৬ কিমি দূরে ঝাড়গ্রাম । আপনি যদি  প্রকৃতি প্রেমী হন,জঙ্গল নদী পাহাড়, লেক, ঝর্ণা ভালোবাসেন এবং প্রাচীন ইতিহাসকে জানতে চান তাহলে আপনার কাছে ঝাড়গ্রাম আদর্শ। শাল, মহুলের জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া, পাখিদের কলতানে সুর মেলানো, পাহাড় চূড়া ডিঙানো আর আঁকাবাঁকা লাল মাটির রাস্তাগুলোর বুক চিরে এগিয়ে চলার রোমাঞ্চ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা ।

ঝাড়গ্রাম পশ্চিমবঙ্গের ২২তম জেলা,যা ২০১৭ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আলাদা হয়ে যায়। এই জেলার উত্তরে বেলপাহাড়ি আর দক্ষিণ দিয়ে বয়ে গেছে সুবর্ণরেখা নদী। প্রকৃতিপ্রেমী বিশেষ করে যারা অরণ্যের রোমাঞ্চে আগ্রহী আর যারা অকৃত্রিম সৌন্দর্যরস উপভোগ করতে চান, তাদের জন্যে আদর্শ সাপ্তাহান্তিক গন্তব্য হতেই পারে এই ঝাড়গ্রাম। সংগে বেলপাহাড়ি ও গোপীবল্লভপুরকে যোগ করে নিলে বেড়াতে যাওয়াটা আরো উপভোগ্য হয়ে উঠবে  । 



On the way to Jhargram 

 

ধরা যাক - আপনার ৪ দিনের ছুটি আছে - বৃহস্পতিবারে বেরিয়ে রবিবারে বাড়িতে ফেরা  ।  ঝাড়গ্রামে থেকে আপনি বেলপাহাড়ি ও গোপীবল্লভপুর ঘুরে দেখবেন  । এই সাপ্তাহান্তিক ভ্রমণের একটি রূপরেখা তৈরী করা যাক ।  ভ্রমণ সূচি এইরকম  --- 



Day 1 :  Check in & Jhargram লোকাল সাইটসিইং

১.ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী  ( মনে রাখবেন -ঝাড়গ্রাম রাজ্ বাড়িতে থাকলেই তবেই ভিতরে ঢুকে দেওয়া হয় )
২.মা সাবিত্রী দেবীর মন্দির
৩.চিল্কিগড়  কানাক দূর্গা মন্দির
৪. ডুলুং নদী  
৫.চিল্কিগড় রাজ্ বাড়ি
৬.ঝাড়গ্রাম  মিনি চিড়িয়াখানা ,
৭.আমলাচটি ওষধি গাছের বাগান
৮. কেন্দুয়া পাখিরালয়
৯ ঝাড়গ্রাম ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ও আদিবাসী জাদুঘর
১০. ক্রিস গার্ডেন 



Days 2 - Belpahari & লোকাল সাইটসিইং

১. লালজল পাহাড় ও গুহা
২..খান্দারানী  লেক   
৩. গাদ্রাসিনী  আশ্রম , পাহাড় ও গুহা  
৪ .ঘাগড়া  জলপ্রপাত
৫.তারাফেনি নদী ও বাঁধ


Days 3 -Gopiballabpur & লোকাল সাইটসিইং

১. Subonrekha River - Gopiballavpur  Eco  Park - Old Shiva Temple  - Old Vaishnava Cemetery - Old Vaishnava Mandir (Radha-Govinda Temple )  
২. Jhilli Pakhiralay
৩. Rameshwar temple
৪. Tapoban
৫. Hatibari

Days 4 - Check out 

 


Tribal Dance

 

উপরোক্ত ভ্রমণসূচি আমি আমার মতন করে সাজালাম যাতে ভ্রমণ পিপাসুরা আরাম করে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারে।

ধরা যাক - আপনি হাওড়া থেকে সকালে ইস্পাত এক্সপ্রেস উঠে ৯.০০ থেকে ৯.৩০ মধ্যে পৌঁছে যান ( ট্রেনটা এখন বেশ লেট করে। নিধারিত সময় হলো ৯.০৫) । তারপর হোটেলে চেক ইন করার আগে স্টেশনের কাছে সুভাষ পার্কে লোকনাথ মিষ্টান্ন ভান্ডারে ব্রেকফাস্ট করে নিতে পারেন । ভালো কচুরি বানায় । তারপর হোটেলে ব্যাগপত্র রেখেই একটি গাড়ি বা টোটো ভাড়া করে ঘুরে নিন ঝাড়গ্রামের লোকাল সাইটসিইং । সবটা ঘুরতে আপনার পুরো দিনটা চলে যাবে । 



Jungle both side of the road

 

 ঝাড়গ্রাম ----



১ . ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী -


History of Rajbari  


 

ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী ।  ১৯৩১ সালে নরসিংহ মল্লদেব এই রাজবাড়িটি তৈরী করেন । রাজবাড়িটি ইতালিয়ান  আর ইসলামিক আর্কিটেকচার মডেলে তৈরী ।
বর্তমানে ১০টি ঘর নিয়ে হেরিটেজ হোটেল আছে এখন যা রাজপরিবার দ্বারা পরিচালিত হয় ।  রাজপরিবারের বর্তমান প্রজন্ম এখন এই বাড়িতে থাকে । বাড়িটির ভিতরে খুব সুন্দর বাগান, ফোয়ারা  ও মন্দির আছে - একটি রাধা-কৃষ্ণের অপরটি ডমরুধরের ।  রাজবাড়ী, মন্দির, বাগান, ফোয়ারা, গাছপালা ঘেরা এই পরিবেশটা বেশ উপভোগ্য, শীতের অলস সকালটায় রোদ মাখতে মাখতে কাটিয়ে দেওয়া যায় একটা দিন। এই রাজবাড়ীতে কিন্তু অনেক কালজয়ী সিনেমার শুটিং হয়েছে - যেমন  - সন্ন্যাসী রাজা ( উত্তম কুমার অভিনীত), সন্দীপ রায় পরিচালিত ফেলুদার গল্প  টিন্টোরেটর যিশু ছবিটির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে । তাছাড়া পরমব্রত চ্যাটার্জী অভিনীত ব্র্যাক ফেল, আবির চ্যাটার্জী অভিনীত দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন শুটিং হয়েছে এখানে । রাজবাড়ীর নতুন প্রচেষ্টা হলো  - একটি সিনেমা হল তৈরী করা - যেখানে তাদের হেরিটেজ হোটেলে যে সব গেস্টরা থাকবেন, তারা ওই সিনেমা হলে - রাজবাড়িতে শুটিং হয়েছে যে সব সিনেমা আর ঝাড়গ্রামে শুটিং হয়েছে সেসব সিনেমা দেখতে পাবেন ।

মনে রাখবেন - শুধু মাত্র রাজবাড়ীর  হেরিটেজ হোটেলে থাকবেন তারাই ওই সব সুবিধা পাবেন, অন্যরা পাবেন না ।


Jhargram Rajabri


২ . চিল্কিগড় কনক দূর্গা মন্দির --

ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ১৪ কিমি দূরে ডুলুং নদীর তীরে এই মন্দিরটি ।  গা ছমছমে গভীর জঙ্গলের মধ্যে কনক দুর্গার মন্দির। অষ্টধাতুর দুর্গা এখানে অশ্বারোহিনী চতুর্ভূজা। সাড়ে চারশো বছরের মিথ। নবমির রাতে গভীর জঙ্গলের মধ্যে আজও নাকি নিজেই নিজের ভোগ রাঁধেন উমা। 


Old Kanok Durga Mandir


সালটা ১৩৪০ বঙ্গাব্দ । মন্দির জুড়ে মিথ।  কথিত আছে দেবী মহামায়ার স্বপ্নদেশে মন্দির ও সোনার মূর্তি তৈরির নির্দেশ পান রাজা গোপীনাথ  । মন্দির তৈরি করলেন রাজা গোপীনাথ। স্ত্রীর হাতের সোনার কাঁকন দিয়ে তৈরি হল মূর্তি । তাই থেকে এর নাম হয় কনক দূর্গা মন্দির । গভীর জঙ্গলের মধ্যে এই মন্দির । কথিত আছে এক সময় নরবলি হতো । এখন পশুবলি হয় । ষষ্ঠীতে ডুলুং থেকে ঘট ভরতি জল আসে। সারারাত মন্দিরের বাইরে বেলগাছের নীচে থাকে ঘট। সপ্তমীর সকালে কলসির জল দিয়ে ঘট শুদ্ধ করে হোম আরতির পর গৃহপ্রবেশ। অষ্টমীর রাতে মন্দির সংলগ্ন গভীর জঙ্গলে নিশাপুজো। থাকেন শুধুমাত্র রাজপরিবারের সদস্যরাই।
দশমীতে কলাগাছরূপে রাবণ-পুজো। সন্ধেবেলা ডুলুং-এর তীরে মশাল জ্বালিয়ে সেই কলাগাছকে তীর মারার প্রতিযোগিতা। পুরোনো মন্দিরটি বাজ পড়ে মাঝ বরাবর ফেটে যায় । পুরানো মন্দিরটি বদলে এখন নতুন মন্দির হয়েছে ।  চারবার সোনার মূর্তি চুরি যাওয়ার পর এখন অষ্টধাতুর মূর্তিতেই এখন পুজো হয় চিলকিগড়ে। দেবীর ভোগে হাঁসের ডিম্ ও মাছ দেওয়ার প্রচলন আছে । মন্দিরটি পূর্ব মুখী ।

কনক দূর্গা মন্দির যেতে হলে কনক অরণ্য এর মধ্যে দিয়ে  যেতে হয় । ৪০০ টিরও বেশি শতাব্দী প্রাচীন ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ আছে যাদের পরিচয় বোর্ডে লেখা আছে । এই ধরনের প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট ঔষধি এবং ভেষজ উদ্ভিদ সমৃদ্ধ অরণ্য হিসাবে এই কনক অরণ্যই সম্ভবতঃ এশিয়ার বৃহত্তম এই ধরনের বিশেষ অরণ্য।
 

New Kanok Durga Mandir


৩. ডুলুং নদী -

কনক দূর্গা মন্দির এর পেছন দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং । বর্ষাকালে এর রূপ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে । আবার শীতকালে এর শান্ত রূপ দেখার মতন । সুবর্ণরেখার শাখানদী সুন্দরী ডুলুং-এর উৎপত্তি ছোটোনাগপুর মালভূমির চাকুলিয়ার কাছে। তারপর পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুর হয়ে ঝাড়গ্রাম মধ্যে দিয়ে গোপীবল্লভপুর হয়ে মিশেছে সেই সুবর্ণরেখাতেই ।

Dulung River at winter season


৪ . সাবিত্রী মন্দির -

ঝাড়গ্রাম থেকে ৩ কিমি দূরে ৩৫০ বছরের পুরানো এই মন্দির আছেই । শোনা যায় রাজা সর্বেসর সিংহ জগন্নাথ দর্শন করে ফেরার সময় দেবী মায়ের স্বপ্নাদেশ পান তারপরে তিনি এই মন্দির তৈরী করেন । এই মন্দির এ কোনো দেবীর মূর্তি নেই , আছে পাথর, তাকেই দেবী রূপে পূজা করা হয় । এই মন্দির ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ীর মাতৃমন্দির । সাবিত্রী দেবী মা দুর্গার আর এক রূপ । তাই এখানে রাজপরিবার দ্বারা প্রতি বছর দূর্গা পূজা হয় । মন্দিরের সামনে বিশাল বট গাছ আর পেছনে বিশাল পুকুর আছে, যা আপনার মনকে শান্ত করবে ।   

Savitri Mandir



৫ . কেন্দুয়া --

ঝাড়গ্রাম ঝাড়গ্রাম থেকে ১০ কিমি দূরে কেন্দুয়া গ্রাম চিল্কাগড় যাবার পথে পড়ে । শীতকালে এখানে পরিযায়ী পাখিদের দেখা যায় । পাখি প্রেমীদের জন্য আদর্শ জায়গা । বর্ষাকালেই পরিযায়ীরা এখানে মে মাসে আসে আর নভেম্বর মাসে চলে যায় ।

Kendua Village - Migratory birds


  ৬. চিল্কিগড় রাজবাড়ী -


Chilkigarh Rajbari

কনক দূর্গা মন্দির থেকে রাজবাড়ী ২ কিমি দূরত্ব । ঝাড়গ্রাম থেকে ১০ কিমি । প্রধান দরজা দিয়ে ঢুকেই বাদিকে আছে একটি প্রাচীন শিব মন্দির, তার পাশে গায়েত্রী দেবী মন্দির আর আছে রাধা কৃষ্ণা মন্দির । রাধা কৃষ্ণার মন্দিরে আজ ও পুজো হয় । তবে সর্বত্রই রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নজর পড়ে । রাজবাড়ীর ভিতরে বর্তমান প্রজন্মরা থাকেন , সেখানে কারুর প্রবেশ নিষিদ্ধ ।  


Mandir - at Chilkigarh Rajbari


 ৭. ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা -

এটি ডিয়ার পার্ক নামে পরিচিত ।  ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন থেকে ২ কিমি দূরে । এখানে সব প্রাণীদের খোলা প্রাকৃতিক পরিবেশ এর মধ্যে রাখা হয় । প্রায় ২৪ হেক্টর জমি নিয়ে এই চিড়িয়াখানা তৈরী ।  এখানে পশু হাসপাতাল আছে ।


Jhargram Mini Zoo


 ৮. আমলাচটি ওষধি বৃক্ষের বাগান -

এখানেই ৭০০ এর বেশি ওষধি বৃক্ষের গাছ আছে ।  শান্ত নিলিবিলি সবুজে ঘেরা পরিবেশে আপনার এই বাগানে ঘুরতে ভালো লাগবে ।  প্রচুর পাখিদের আনাগোনা, তুলে নিন আপনার না জানা কিছু পাখির
ছবি অনুমতি নিয়ে।

Medical Plantation Garden


৯. ঝাড়গ্রাম ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ও আদিবাসী জাদুঘর  -


Tribal Museum


ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ৩ কিমি দূরে অবস্থিত।  চারিদিকে শুধু সবুজের মেলা ।  গাছে নানান পাখিদের আনাগোনা ও ডাক শোনা যায় । এখানে কয়েকটি কটেজ আছে থাকবার জন্য যা www,wbtdcl.com
থেকে বুকিং হয় । আর আছে আদিবাসীদের নানান কাহিনী ও তাদের ব্যবহার করা জিনিস নিয়ে তৈরী জাদুঘর । আপনার ভালো লাগবে ।


Tribal Museum


১০. ক্রিস গার্ডেন -

ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত। একটি মনোরম প্রাকৃতিক বাগান । খুবই সুন্দর জায়গা । প্রায় ১০ একর জায়গা নিয়ে এই বাগান । বাচ্চাদের খেলার নানান জিনিস ও পশু পাখিদের খাঁচা রয়েছে । টয় ট্রেন ও একোরিয়াম আছে এখানে ।


Krish Garden



উপরের ওই সব জায়গা ঘুরতে আপনার সারাদিন চলে যাবে । 


দ্বিতীয়দিন



দ্বিতীয়দিন সকাল সকাল একটি গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়ুন বেলপাহাড়ির দিকে । এখানে বলে নেওয়া যেতে পারে জঙ্গল মহলের রাস্তাঘাট বেশ ভালো । এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যেতে বেশি সময় লাগে না । প্রাকৃতিক রূপ এত ভালো যে, ছবি তুলতে তুলতে সময় চলে যায় ।

Daily life of Jungle Mahal


বেলপাহাড়ি ---


ঝাড়গ্রাম এর বিনপুর ব্লক ২ অন্তর্গত বেলপাহাড়ি - যা এখন একটি টুরিস্টদের কাছে খুব আকর্ষণীয় স্থান ।  কি নাই এখানে - শাল, মহুয়া পিয়াল, সোনাঝুরি ,ইউক্যালিপ্টাস ঘন জঙ্গল যা দোলমা পাহাড়ের অন্তর্গত, ঝর্ণা, নদী ও বাঁধ, গুহা, মন্দির, লেক আর আছেই অপরূপ প্ৰকৃতিৰ সৌন্দর্য ।

ঝাড়গ্রাম থেকে ৩৫ কিমি দূরে বেলপাহাড়ি, ৪৫ মিনিট এর মতন সময় লাগে গাড়িতে ।

বেলপাহাড়িতে যে সব দর্শনীয় জায়গা আছে তার সৌন্দর্য লিখে বর্ণনা করা কঠিন । দু চোখ ভোরে তার অপরূপ রূপের সাধ নিতে হয়। যেমন ---


১ . খান্দারানী লেক -


khandarani Lake


এটি  একটি ম্যান মেড লেক, যা সাধারণত চাষাবাদ এর জন্য তৈরী । এই লেকের চারিধার এক অপরূপ প্রাকৃতিক  সৌন্দর্যতে ঢাকা । চারিধার সবুজ ঘন জঙ্গল আর পাহাড় - তার মাঝে এই লেক । শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা দেখা যায়।  তাই শীতকালে বার্ড -ওয়াচার, বার্ড - ফোটোগ্রাফারদের আদর্শ জায়গা হয়ে ওঠে । খান্দারানী লেক থেকে সূর্যাস্ত দেখা এক দুর্লব মুহূর্ত হয়ে থাকবে । স্থানীয় মানুষেরা এই লেককে খাদা রানী বলে ।  তবে বলে রাখি যে এখানে পর্যটকদের জন্য সেরকম কোনো পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি । টয়লেট ও পানিও জলের কোনো সুবিধা নেই ।


২ . লালজল পাহাড় ও গুহা --

Lalgal Pahar


বেলপাহাড়ি থেকে ২০ কিমি দূরে লালজল গুহা, আশ্রম ও পাহাড় । লালজল পাহাড়ের উপর একটি প্রকৃতি সৃষ্ট গুহা  আছে । গুহার যাবার রাস্তাটি বেশ কঠিন ।  ছোট একটি ট্রেক এর সাধ পাবেন ।  জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পাথরের উপর দিয়ে লালজল পাহাড়ের উপর উঠে প্রকৃতির এক অপরূপ নৈসর্গিক রূপ দেখা যায় । মনে করা হয় যে ৫০০০ বছর আগে এখন আদিম মানুষের বাস ছিল ।  পুরাতত্ত্ব বিভাগ এখানে বেশ কিছু ফসিল পেয়েছেন যা museum এ দেখা যায় । ওখানকার লোকদের বিশ্বাস জলের রং লাল বলে এই জায়গার নাম লালজল । এখানে জল এ কপার ও আইরন আছে, তাই জলের রং লাল । লালজল পাহাড়ের নিচে লালজলদেবীর মন্দির আছে। 

Lalgal Cave
Lalgal Hilltop




৩ . গাদ্রাসিনী আশ্রম, পাহাড় ও গুহা -


Gadrasini Ashram



বেলপাহাড়ি থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত ।  আর খান্দারানী লেক থেকে ৪ কিমি দূরে গাদ্রাসিনী পাহাড় ।  এই পাহাড়ের নিচে ব্রহ্মাশ্রী সত্যানন্দ সন্ন্যাস আশ্রম  । স্বামী জগানন্দগিরি মহারাজ এই আশ্রম গড়ে তোলেন । আশ্রমের ভিতর শিব মন্দির, যজ্ঞ করার জায়গা, সমাধি মন্দির আছে।  এখনকার শান্ত ধর্মীয় পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে ।   
Gadrasini Hilltop


গাদ্রাসিনী পাহাড়ে উপরে উঠতে ১৫ - ২০ মিনিট লাগে ।  পাথুরে রাস্তা আর বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে উঠতে ভালো লাগবে ।  উপর থেকে জঙ্গল মহলের সুবুজে ঘেরা রূপ আপনাকে মোহিত করবে ।  পাহাড়ে উপরে একটি মন্দির আছে যা কিনা খান্দারানী লেক থেকে দেখা যায় ।  এখানে একটি গুহা আছে । 


On the way to Gadrasini hilltop

Gadrasini Hill Top Mandir

৪ .ঘাগড়া জলপ্রপাত -


বেলপাহাড়ি বাজার থেকে ৭ কিমি দুরে অবস্থিত ।  তারাফেনি নদীর দ্বারা এই জলপ্রপাত তৈরি ।  বর্ষা কালেই এখানে ভালো জল থাকে । এখনকার পাথরগুলি অনেকটা কলসির মতন, এতে অনেকটা বর্ষার জল ধরে, তাই এর নাম গাগরী, সেই গাগরী থেকে এই ঘাগড়া ।  এখানে বাংলা সিনেমা বেহুলা লখিন্দর এর শুটিং হয়ে ছিল ।  এই জলপ্রপাতের বাদিকে গভীর জঙ্গল যা বাঁকুড়ার সুতান পর্যন্ত চলে গেছে । 

Gagra Waterfalls


৫.তারাফেনি নদী ও বাঁধ -

বেলপাহাড়ি থেকে ৮ কিমি দূরে অবস্থিত। সাধারণত বৃষ্টির জলে পুষ্ট এই নদী । বাকি সময় এই নদীটি মুকুটমণিপুর ব্যারেজের জলে পুষ্ট থাকে। বেলপাহাড়ির পানীয় জল এই জলাধার থেকেই দেওয়া হয় । শীতকালে নদীর ধরে প্রচুর খেজুর গুড় তৈরী হয় । এই গুড় তৈরী দেখতে পারেন ও সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চান তাদের কাছে একটা ভালো সুযোগ ।

Taraphini River & Dam


৬ .আমলাশোল

বেলপাহাড়ি থেকে এর দূরত্ব ৩০ কিমি । ২০০৪ সালে সবর উপজাতির ৫ জন অনাহারে মারা যায়
এই আদিবাসী গ্রামে। তারপরে এই গ্রাম সংবাদ এর কেন্দ্র বিন্দু হয়ে ওঠে।  সেই ইতিহাস আপনাদের সবারই জানা । এই সহজ সরল আদিবাসী গ্রাম আপনি ঘুরে আসতে পারেন । এর পাশের গ্রামের নাম আমঝর্না - যেমন নাম তেমন এর প্রাকৃতিক রূপ ।

Amlashol village


৭. কাঁকড়াঝোর -

কাঁকড়াঝোর বেলপাহাড়ি  থেকে ২৮ কিমি দূরে অবস্থিত। স্থানীয় ভাষায় কাঁকড়া কথার অর্থ হলো পাহাড় আর ঝোর কথার অর্থ হলো জঙ্গল । এক অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এ মোড়া এই জায়গা । ছোট ছোট পাহাড়, লাল মাটির পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তা, ঘন জঙ্গল আর ছোট ছোট আদিবাসী গ্রাম ও তাদের সহজ সরল জীবন যাপন আপনাকে মোহিত করবে । এই গ্রামের তিনদিকে পাহাড় । আর এখনেই চারমূর্তি সিনেমার শুটিং হয়েছে । যাকে দেখে চারমূর্তি ভয় পেয়েছিলো সেই গোপীনাথ মাহাতো (যিনি আর বেঁচে নেই ) বাড়িতে আপনি থাকতে পারেন । দুতলা বাড়ি,  ঘরের মেজেতে গোদি পাতা ( শোবার জায়গা ) বাথরুম আলাদা, ঘরের সাথে নয়। খুব সাধারণ ব্যবস্থা । জন প্রতি ৮০০ টাকা ( থাকা ও খাওয়া সহ ) ফোন - ৭০০৩১০১০১৬ ।

Kakrajhore


তৃতীয়দিন --

আজ ও আপনি তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে গাড়ি নিয়ে চলুন গোপীবল্লভপুরের দিকে ।  ঝাড়গ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুর ৪৪ কিমি , খুব বেশি হলে ১ ঘন্টা সময় লাগবে । 


On the way to Gopiballavpur

গোপীবল্লভপুর -


ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর পশ্চিমবঙ্গ এর মানচিত্রের মধ্যে যে কয়েকটি সুপ্রাচীন ও সুপরিচিত বৈষ্ণব জনপদ আছে সেগুলির মধ্যে একটি ।  এটি ৬০০ বছরেরও বেশি পুরাতন জনপদ। ১৪০০ খ্রিস্টাব্দের আগে এর নাম ছিল কাশীপুর । আজ  বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং রাস্তাঘাটের উন্নতির কারণে এটি একটি ছোট আধা শহরে পরিণত হয়েছে। বাংলা-উড়িষ্যা সীমান্তের খুব কাছেই এই গোপীবল্লভপুর শহরটি অবস্থিত। এর ঠিক পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী । নদীর পাশেই সম্প্রতি গড়ে উঠেছে গোপীবল্লভপুর ইকো পার্ক । সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্কটি অত্যন্ত সুন্দর।




এর পাশেই আছে বৈষ্ণব গোস্বামীদের প্রাচীন সমাধিস্থল। আর তার অনতিদূরে আছে একটি পুরনো শিব মন্দির। তবে এই জায়গার মূল আকর্ষণ হলো প্রায় ৬০০ বছরের পুরাতন ভগ্নপ্রায় বৈষ্ণব মঠ। যাকে স্থানীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষেরা বলেন রাধাগোবিন্দের মন্দির ।  সারা বছর বহু মানুষ এই বৈষ্ণব মঠ দেখতে আসেন । বৈষ্ণব সমাধি ক্ষেত্র ও কিছু দূরে আছে ।

রাধাগোবিন্দের মন্দির -


এই অঞ্চলের সব চেয়ে প্রাচীন মন্দির, প্রায় ৬০০ বছরের এক ইতিহাস এই বৈষ্ণব মঠ এর সঙ্গে জড়িত । ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের গোস্বামী শ্যামানন্দ মহাপ্রভু সুদূর বৃন্দাবন ধাম থেকে পবিত্র যমুনা নদীর জল নিয়ে এসে সুবর্ণরেখা নদীর তীরে তখনকার কাশীপুরে এই বিশাল প্রাচীন বিখ্যাত রাধাগোবিন্দ মঠটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই মঠটি সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ এবং গোস্বামী-প্রভুপাদগণেদের কাছে একটি খুবই পবিত্র স্থান। বৈষ্ণব মহান্তরা একে গুপ্ত বৃন্দাবন বলে থাকেন। প্রকৃত রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে মঠ এর বেশ কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে  । তবু আজ ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে মঠটি দাঁড়িয়ে আছে ।  প্রতি বছর ধুমধাম করে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় । এখানে রাধাকৃষ্ণর মূর্তির সাথে জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তিও আছে । 


এখানকার বিখ্যাত মিষ্টি হ'ল মগধ মিঠাই অবশ্যই খাবেন, খুবই সুস্বাধু ।

গোপীবল্লভপুরের কাছেই আরো তিনটি  বিখ্যাত ও অত্যন্ত সুন্দর পর্যটন ক্ষেত্র আছে। সেগুলি হ'ল ১) হাতিবাড়ি (২০ কি. মি.), ২) ঝিল্লি পাখিরালয় (২৩ কি. মি.) ও ৩) রামেশ্বর মন্দির, তপোবন আশ্রম  (১০ কিমি)  । পারলে এই স্থানগুলিও ঘুরে নিতে পারেন। খুবই ভালো লাগবে। এখানে বলা ভালো যে সুবর্ণরেখা নদীর রূপ এখানে অসাধারণ ।


Rameshwar Temple


রাতে ঝাড়গ্রাম ফিরে কিছু কেনাকাটা জন্য সুভাষ পার্কে ও কোর্ট রোডের আদিবাসী মার্কেটে যেতে পারেন । কোর্ট রোডের আদিবাসী মার্কেটের সব দোকানি আদিবাসী । বেশ জমজমাট মার্কেট - হাতের কাজের জিনিস থেকে জামাকাপড় সব পাওয়া যায় । কিনে নিন কিছু আদিবাসী হস্তশিল্প - বাড়িতে সাজিয়ে রাখুন বা প্রিয় জনকে দিন ।

চতুর্থ দিন --

আজ সকালে আপনি আপনার হোটেলকে বিদায় দেবার সময়ে আপনার মনে হবে আর ও একদিন থাকি ।



ঝাড়গ্রাম যাবার সেরা সময় ---

আমরা মতে সেপ্টেম্বর এর শেষের সপ্তাহে থেকে মার্চ শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত  বেড়াতে যাওয়ার পক্ষে ভালো ।  তবে বর্ষাকালে ঝাড়গ্রাম এর রূপ আলাদাই ।  প্ৰকৃতির রূপ তখন যেন অনেক মায়াবী - নদীতে টলটলে জল, গাছ ও জঙ্গল যেন বর্ষার জলে সিক্ত হয়ে আরো সবুজ হয়ে ওঠে । এ এক অন্যরকম সৌন্দর্য । শীতকাল এ বেশি মানুষ ঝাড়গ্রাম যান ।  মার্চ মাসে পলাশ ফুল ফোটে ।  গরমকালে বেশ গরম পড়ে এখানে । এখানেই প্রতি বছর বসন্ত উৎসব হয়।  

কি ভাবে যাবেন ----


ঝাড়গ্রাম যারা নিজের গাড়ি নিয়ে যাবেন তারা দুই ভাবে যেতে পারেন  - ভায়া খড়গপুর হয়ে আর মেদিনীপুর শহর হয়ে । কোলাঘাট থেকে তিন - সাড়ে তিন ঘন্টা মতন লাগে ।  

ধর্মতলা থেকে s.b.s. t. c. বাসে ৫ ঘন্টার মধ্যে ঝাড়গ্রাম পৌঁছে যেতেই পারেন ।  
হাওড়া থেকে সকালে ইস্পাত এক্সপ্রেস ও লালমাটি এক্সপ্রেস উঠে  সকাল ১ ১ .০০ তে ঝাড়গ্রাম পৌঁছে যেতে পারেন ।  হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম ট্রেনে ২.৩০ থেকে ৩.০০ ঘন্টা লাগে ।  হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম ট্রেনে ১৫৫ কি. মি । এটাই সবচেয়ে কম খরচে এবং তাড়াতাড়ি যাওয়া যায় ।


কোথায় থাকবেন ---

ঝাড়গ্রাম এ অনেক হোটেল, গেস্ট হাউস আছে । ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে  ৫৫০০ টাকার হোটেল, গেস্ট হাউস, হেরিটেজ গেস্ট হাউস পাওয়া যায়। সব হোটেল গেস্ট হাউস এর নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে । তবে আরেকটু কম খরচে খেতে চাইলে চলে আসতে হবে স্টেশনের কাছে সুভাষ পার্কে, এখানে সারাদিন হরেক রকম এর খাবার দোকান আপনি পাবেন ।  
1. ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী টুরিস্ট কমপ্লেক্স
2. ঝাড়গ্রাম প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র
3. বেলপাহাড়ি ফরেস্ট গেস্ট হাউস
বুকিং - www.wbtdcl.com



অফবিট ঝাড়গ্রাম


1. ঢাঙ্গীকুসুম জলপ্রপাত (হুদাহুদি জলপ্রপাত) , ঢাঙ্গীকুসুম, বেলপাহাড়ি



Hudhudi waterfalls


বেলপাহাড়ি ইন্দিরাচক থেকে ঢাঙ্গীকুসুম ২৪ কিমি দূরে ।  ঢাঙ্গীকুসুম জলপ্রপাতকে আবার হুদাহুদি জলপ্রপাত ও বলে । বেশ খানিকটি গভীর জঙ্গল ও পাথরে রাস্তার মধ্যে দিয়ে এই জলপ্রপাতের কাছে পৌঁছাতে হয় । বেশ রোমাঞ্চকর লাগবে এই পথে যেতে ।  অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা এই অঞ্চলের । সাধারণত বর্ষাকালে এই জলপ্রপাতের রূপ অসাধারণ, প্রচুর জল থাকে এই সময়ে । এই অঞ্চলের শীতকালের রূপ আবার অন্য রকম ।

Hudhudi waterfalls



2. লালবাজার (খোয়াবগা ), ঝাড়গ্রাম

Lal Bazar - village art



ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ৫ কি মি দূরে জঙ্গল এর ভিতর একটি ছোট গ্রাম - নাম লালবাজার । চালচিত্র একাডেমির সম্পাদক মৃনাল মন্ডল এই গ্রামটিকে নতুন করে আবিষ্কার করে একটি ওপেন ষ্টুডিও আদলে তৈরি করেছেন । মৃনাল বাবু ওই গ্রামের কচিকাঁচাদের নিয়ে শুরু করেন ছবি আকার ক্লাস । ওনার  চালচিত্র একাডেমি বেশ কয়েক বছর ধরে লোকশিল্পএর  সাথে মূল ধারার শিল্পীদের মেলবন্দন করে আসছেন ।  সাহিত্যিক শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় লালবাজার এর নতুন নাম দিয়েছেন খোয়াবগা ।  অনেকে চালচিত্র গ্রামও বলেন । এই গ্রামের বাড়ির দেওয়াল গুলোকে দেওয়া হয়েছে আর্টিস্টিক লুক - নানান ছবির সমাহার, বিভিন্ন লোককথার সমাহার ।  এখন চালচিত্র একাডেমির কর্মীরা গ্রামবাসীদের কাঁথা সেলাই থেকে শুরু করে খেজুর পাতার চাটাই, ছবি আঁকা, আলপনা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো  হচ্ছে । নায়াগ্রাম এর পটুয়া মনু চিত্রকর , বাহাদুর চিত্রকর ছবি আকার, কৃষ্ণনগর এর আলপনা  শিল্পী বিধান বিশ্বাস এখানে শিক্ষা দেন । আজ লালবাজার শিল্পগ্রামে পরিণত হতে চলেছে ।  যে কেউ মৃনাল বাবুর এই চালচিত্র একাডেমির মহান ওপেন ষ্টুডিও কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন । ওনার সাথে +৯১ - ৯৪৩৩২৪৫৫৭৪ ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন ।

Lalbazar - village art



3. Kurumbera Fort ( কুরুম্বারা  ফোর্ট )

Kurumbera Fort


ঝাড়গ্রাম থেকে ৬৫ কিমি দূরে এই ফোর্ট আছে । এই ফোর্টটি ১৪৩৮ - ১৪৬৯ সালে ওড়িশার সূর্য  বংশীয় রাজা গাজাপতি কাপিলেন্দ্রা দেব তৈরি করেন । বর্তমানে এই ফোর্টটি আর্চেলোজিক্যাল  সার্ভে  অফ ইন্ডিয়া (Archeological Survey of India) তত্ত্বাধীনে রয়েছে ।

4. মুঘলমারি (Mughalmari)

Mughalmari


ঝাড়গ্রাম থেকে ১০০ কিমি দূরে মুঘলমারি । এখানেও প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে । ৬৩৮ সনে চীনা তীর্থযাত্রী হিউয়েন সাং এখানে এসে ছিলেন ।


 

তাহলে আর দেরি না করে এক Weekend এর মজা নিতে বেরিয়ে পড়ুন ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে যেখানে ইতিহাস ও প্রকৃতি কথা বলে। 



Images Sources - Google.



Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

JHARGRAM WEEKEND TOUR